Heart Touching Dukkher Bangla Golpo of Mohim and Cow
তখন শীতকাল, প্রচন্ড শীত পড়েছে। চারিদিকে কুয়াশাতে ঘিরে রেখেছে। একটু দূরে আর কিছু দেখে যায় না। চারিদিকটা সাদা হয়ে রয়েছে।
সহ সহ……… স্বর স্বর স্বর। একসাথে দশটি পা শুরু শুরু চলছে।
আর একই সাথে এগোচ্ছে রূপালী লাঙল।
গরু দুটোর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তুনা তাদের মালিকের অবস্থা আরো খারাপ। গরু দুটো আর ওদের মালিক ঠান্ডায় কাঁপছে ঠক ঠক করে।
ওদের গায়ে কোনো কাপড় নয় তেমনি ওদের মালিকের শরীরেও তেমন কোনো মোটা কাপড় নেয়।
খুবই পুরানো ময়লায় জর্জরিত, ছেড়া একটা গামছা।
মহিমের অবলম্বন বলতে আছে এই সামান্য একটু জমি আর এই দুটি গরু। মাঝে মাঝে তার এই গরুগুলোর জন্য খুব কষ্ট হয়। কিন্তু সে প্রকাশ করতে পারে না শুধু মাঝে মাঝে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। মুখে তো কিছু বলতে পারে না শুদু মহিমের দিকে তাকিয়ে থেকে। এটা মহিম মনে করে।
কিরে শরীর এর অবস্থা খারাপ না কি ? খোঁড়াচ্ছিস কোনো ?
চল চল জোর লাগা
হুর হুর হুড হুড হুড…….
মহিম অনবরত গরুগুলোর ওপর চিয়েছিয়ে যাচ্ছে আর গরু গুলো অনবরত লাওল টেনে যাচ্ছে।
জমির বুক চিরে খন্ড বিখন্ড হয়ে যাচ্ছে। মহিম খন্ড বিখন্ড মাটির দিকে তাকিয়ে আছে চোখ বোরো বোরো করে। এ যেন মাটি নয় এক
এক টুকরো টুকরো স্বপ্ন ।
মহিম এর দুই ছেলে , দুই মেয়ে ।
ছেলে দুটো বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে ।
আর মেয়ে দুটোরও বিয়ে হয়ে গেছে সেই
কবে ।
.
অনেক , অনেকদিন আগে বাবা রজব শেখ
মহিমের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এই লাঙল-
জোয়াল । তখন কলিমের বয়স বার কি তের
হবে । দীর্ঘ এতগুলো বছর কলিম শেখ সেই
লাঙ্গল-জোয়ালের ভার বহন করে চলেছেন ।
জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় এসেও এতটুকু
বিশ্রাম নেই , এতটুকু ক্লান্তি নেই ।
ক্লান্তি হয়ত আছে , কিন্তু
সেটা মেনে নিতে তিনি একেবারেই নারাজ
। তাইতো আজও শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন
জীবনলাঙলের হাতল . . . .
.
ছেলে-মেয়েরা চেড়ে গেলে কি হবে , একজন
কিন্তু এখনো চেড়ে যায় নি কলিম শেখকে ।
যাকে তিনি পষ্ণাশ বছর আগে পেয়েছিলেন
কোন এক ঝড়ের রাতে । সেই �