Heart touching bangla story
সত্য ঘটনা অবলম্বনে….
চীনের ডালি নামক এক শহরে একটা ছোট মার্কেটে ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান ছিল . দোকানটায় জিনিসপত্র ভালোই কেনা বেচা হতো . আর দোকানটা ছিল রাস্তার ধরে ছাদের দোকান ছিল . মালিকটা রোজ রাত্রে দোকান বন্ধ করে চলে যাবার পর একটা পাগল ওই দোকানের দরজার সামনে গিয়ে শুয়ে পড়তো . পাগলটাকে দেখতে ছিল অনেকটা এরকম যে তার এক মাথা বড় বড়ো চুল মতো নাক,মোটা ভ্রু ,লম্বা .পরনে থাকতো একটা ছেড়া লম্বা প্যান্ট আর একটা ফুলহাতা জামা আর সবথেকে বড় কথা হলো যে পাগলটা ছিল হাবা কথা বলতে জানতো না .
সে প্রতিদিন ওখানে গেয়ে শুয়ে থাকতো র রোজ সকালবেলা মালিক তা দেখে ওকে খুব বিরক্ত করতো. একদিন মালিকটা দোকান খুলতে এসে দেখে যে পাগলটা দরজার সামনে শুয়ে আছে তাই দেখে পাগলটা খুব বকাবকি করলো তখন পাগলটা ভয়ে ওখান থেকে পালিয়ে গেল . যা দেখে পাশের দোকানদারটা মোটেই পছন্দ করেনি . ঠিক তারপরের দিন পাগলটা রাত্রে এসে শুলো আর পরদিন সকালে মিল্ক এসে দেখে যে সে শুয়ে আছে দেখে ওকে লাঠি দিয়ে মারতে লাগলো অমনি সে ছুটে পালিয়ে গেলো .
এইভাবেই তারপরদিন মালিকটা তার গায়ে গরম জল ঢেলে দিলো যেটা দেখে কারোরই পছন্দ হয়নি. কিন্তু তারপর দিন সকালে মালিকটা যখন দোকান খুলতে গেল দেখে যে পাগলটা আর তার দোকানের সামনে শুয়ে নেই .এভাবে এক সপ্তা কেটে গেলেও পাগলটা আর আসেনি তার দোকানের সামনে .তখন মালিক তা ভাবল যে যাক তার ওষুধে কাজ হয়েছে .কিছু দিন এভাবে কেটে যাবার পর একদিন রাত্রেওই মালিকটা তার ল্যাপটপে গিয়ে ইউটুব তা খুলতে সেই পাগলটার সঙ্গে তার ব্যবহারটা কেউ ভিডিও করে ভাইরাল করে দিয়েছে .
সে পুরো ভিডিওটা শেষ পর্যন্ত দেখলো …দেখলো যে সে তারসঙ্গে যা যা ব্যবহার করেছে সবই ভিডিও হয়েছে .. সে আরো দেখলো যে যেদিন সে ওই পাগলটার গায়ে জল ঢেলে দিয়েছিলো সেদিন রাত্রিও সে ওই দরজার সামনে শুয়ে ছিল কিন্তু যখন রাত বারোটা বাজে তখন একদল ডাকাত তার দোকানে চুরি করতে আসে . তারা চুপিসারে দরজার চাবি খুলতে গেলে পাগলটা ঘুম থেকে উঠে পরে যার তাদের বাধা দিতে থাকে . আর বাধা দিতে থাকলে ডাকাতগুলো পাগলটাকে খুব মারছিলো আর পাগলটাও তাদের মারতে শুরু করলে .
একডাকাত তার পেটে বারবার চুরি ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে হত্যা করে . কিন্তু তারসত্বেও সে বাধা দেবার চেষ্টা করলে ডাকাত গুলো ভয়েই পালিয়ে যায় . ফলে সে তাদের চুরি করা থেকে দূরে সরিয়ে দেয় ..এবং তার কিছুক্ষন পর পাগলটা মারা যায় . যার এই ভিডিওটা দেখে সেই মালিকটা তার চোখের জল আর ধরে রাখতে পারলো না .. সে কান্নায় ফেটে পড়লো .